প্রশান্তির বাঁধন
বিবাহ কি শুধুই দু’জন মানুষের সম্পর্কের বাঁধন? নাকি মনুষ্যজাতির অস্তিত্বের সাথে এর গভীর কোনো যোগসূত্র রয়েছে? দাম্পত্যের সুখ লাভের উপায় কি? আদর্শ সন্তান গড়তে কি কি বিষয় জানা প্রয়োজন? এই প্রশ্নগুলোসহ উস্তাদ আলী হাম্মুদা তার লেকচারে সমসাময়িক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিবাহের প্রতি গুরুত্বহীনতাকে ঘুচিয়ে প্রশান্তিময় দাম্পত্য লাভের খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন।
অশ্লীলতায় ঘেরা এই সমাজে বৈবাহিক সম্পর্কের টানাপোড়েন আর তিক্ততা আজ আকাশচুম্বী। একমাত্র বৈধ এই সম্বন্ধের অস্তিত্ব মুছে ফেলার নানান ফাঁদে পড়ে আমরাও যেন দিশাহীন। স্বেচ্ছায় নিজের সুখগুলো কেন নিলামে তুলছি, আর কেন-ই বা অন্তর অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়ছে, তা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। মানবিক চাহিদা পূরণের বৈধ দরজায় তালাবদ্ধ করে বিবাহ আজ যেন অস্পর্শনীয়, অসীম আকাশের চাঁদ। আর বৈবাহিক সুখ তো সে চাঁদকে পেরিয়ে নক্ষত্রের দূরত্বে সরে যাবার উপক্রম। তবে এই সমাজেরই কিছু দুঃসাহসী নারী-পুরুষ মহাকাশের বিশাল দূরত্ব ঘুচিয়ে সেই চাঁদকে নিজের করে পেতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। নিজের ভাগের কাঙ্ক্ষিত প্রশান্তি অন্বেষণে নক্ষত্র থেকেও তারা সুখ কুড়িয়ে আনতে প্রস্তুত। তাইতো অজ্ঞাত আর অসীম দূরত্বের সুখ অন্বেষণে তারা নিজস্ব স্বপ্নের দ্রুতগামী এক আকাশযান সাজিয়ে রেখেছে। স্রোতের সাথে ভেসে চলা সামাজিক রীতি ভেঙ্গে স্রোতের বিপরীতে চলে তারা পৃথিবীকে সুন্দর মানুষে ভরে দিতে চায়। তাদের সেই মূল্যবান স্বপ্নের আকাশযানকে সঠিক পথনির্দেশনা দিয়ে সুখের গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছে দিতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। তাদের সুখী মিলনের মাধ্যমে যদি পৃথিবী নতুন ইতিহাসে সজ্জিত হয়ে স্বস্তির শ্বাস ফিরে পায়, যদি এ উম্মতের কালিমার নিশান হাতে সামনে এগোতে নতুন বীরের অভাবটা পূর্ণ হয়। বিবাহ নারী-পুরুষের মধ্যকার সাধারণ কোনো বন্ধন নয়, বরং এর মাঝেই নতুন এক পৃথিবীর সুখ-শান্তির পালাবর্তন লুকায়িত
বি:দ্র: প্রশান্তির বাঁধন বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না